"কোন এক কালবৈশাখীর সন্ধ্যায় "

“কোনো এক কালবৈশাখীর সন্ধ্যায়”

— আজ এত জলদি? ছাতার অভাবে বোধহয়! 
— তাড়াতাড়ি এসেছি, কোনো সমস্যা? 

— সমস্যার তো আদিঅন্ত নেই, সেসব কথা নাইবা বললাম।
— বলতে চাইলে বলতে পারো, আটকাবার কেউ নেই। 

— গামছা দেব? 
— নাহ, সামান্য জল লেগেছে। 

— সামান্য জল থেকে শরীর খারাপ হলে সেবা কে করবে? 
— সেবা নেবার জন্য ভিজে এসেছি বলছো?

— আজকাল অতিরিক্ত বুঝে যাও সব। 
— মুখে চাবি দিয়ে রাখো তাই অগত্যা...

— চা খাবে?
— হ্যাঁ, তবে একা একা পোষাবে না। 

— আমি তো চা খাওয়া ছাড়িনি। 
— ওটা রেখে দিয়েছো নিজের সাথে এটা দেখে ভালো লাগে। 

— ছাড়ব ভাবছি, চেষ্টা চালাচ্ছি।
— বেশ, শেষটুকুই বা বয়ে বেড়ানোর কি দরকার। 

— খোঁচা না দিয়ে কিছু বলতে পারো না?
— নাহ, অশিক্ষিত মানুষ হলে যা হয়। 

— শেখার ইচ্ছেটুকুও দেখিনি কখনো।
— আর দেখে লাভ কি? দিন তো ফুরিয়েই এল। 

— ওহ, উকিলের সাথে কথা বলে এলে?
— হ্যাঁ। আর দিন কয়েক তারপর স্বাধীনতা পাবে।

— আমি কোনোকালে পরাধীন ছিলাম না। 
— শোষনে ছিলে না? 

— নাহ। 
— ওহ, তবে? 

— থাক না, চা ঠান্ডা হচ্ছে। 
— শরীরও ঠান্ডা হবে একদিন, তার আগে জেনে যাই। 

— জানার আদৌ সময় আছে তোমার? 
— সময়টাই তো দিয়ে উঠতে পারিনি, আজ আছে!

— ওহ, এতদিন হয়নি তাহলে?
— জানি না। 

— শেষ কবে এরম সন্ধ্যায় ঘরে এসেছ?
— মনে পড়ে না। 

— ইচ্ছে হয়নি না? একবারের জন্যও...
— জানি না। 

— চা খাওয়া হলে বেসিনে নামিয়ে দিও।
— চলে যাচ্ছো? 

— যাবার জন্যই তো এতকিছু। 
— হুম। 

এরপর চায়ের কাপ ধরে একভাবেই বসে থাকে সুজিত‌। সীমন্তনির সাথে হয়তো এবারই শেষ চা খাওয়া একসাথে। এরপর আর কখনো ওরা একসাথে বসে চা খাবে না। সুজিত একঘন্টা বাদে ফ্রেশ হয়ে বিছানায় এসে একধারে হেলান দিয়ে বসে। বাড়িতে একটাই বিছানা। তবে বিছানার দুই মানুষের মাঝে যথেষ্ট ব্যবধান। বাইরে হাওয়ার বেগ টা কমে বৃষ্টি নেমেছে ঝড়ঝড়িয়ে। রুমের জানালার কাঁচে বৃষ্টির জলের ঝাপটা এসে লাগছে। সুজিত বই পড়ছে। কিন্তু বইয়ের পাতার মাঝে থাকা কোনো লাইনই তার মস্তিষ্কে পৌঁছায় না। একদৃষ্টে ঐ পাতার লেখাগুলোর মাঝে চেয়ে রয়েছে আর ভাবছে সীমন্তনির চলে যাবার দিনের কথা। ঐদিন কিভাবে বিদায় জানাবে তাকে সুজিত? আদৌ বিদায় জানাতে পারবে তো?... আচ্ছা, সীমন্তনি সত্যিই চলে যাবে ওকে ছেড়ে! সীমন্তনি পারবে? ওর কষ্ট হবে না? 
না না, ওর কেন কষ্ট হবে? সীমন্তনি স্বাধীনভাবে ভালোভাবে বাঁচতে পারবে এরপর। ওর কষ্ট পাবার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। বাইরে বৃষ্টির বেগ বেড়েছে। কিছুক্ষন বাদে বাদে বজ্রধ্বনিও  শোনা যাচ্ছে। এভাবে খানিকক্ষণ চলার পর লাইট চলে যায়। সুজিত আর সীমন্তনি এক বিছানায়। সমস্ত ঘর অন্ধকারে ভরে গেছে। চোখ পাতলে কালো ছাড়া আর কিছু বোঝা দায়, সুজিত চুপ করে ঐভাবেই বসে বসে ভাবছিল কথাগুলো‌। আর মাঝে মাঝে বাইরে বিদ্যুতের ঝলকানিতে ঘরটা একটু করে আলোয় উদ্ভাসিত হচ্ছিল। সুজিতের হঠাৎ খেয়াল হয় যে সীমন্তনি বাজের শব্দে প্রচন্ড ভয় পেত, আজ এতগুলো বাজেরশব্দ শোনার পর ও কীভাবে চুপ করে শুয়ে আছে? ও কি ঘুমিয়ে পরেছে? 
সুজিত ধীরভাবে সীমন্তনির দিকে ঘাড় ঘোরায়, বিদ্যুতের আলোয় দেখে সীমন্তনির শরীরটা জোরে জোরে ওঠানামা করছে আর বাজ পড়ার পরমুহুর্তে কেঁপে উঠছে। সেই সাথে একটা ক্ষীন চাপা শ্বাসের ফসফসানি শোনা যাচ্ছে। সুজিত বুঝতে পারে না, ঠিক কতখানি কোনঠাসা হলে মানুষ তার ভয় কে এতটা চেপে রেখে নিজের ভেতরে ধামাচাপা দিতে প্রানপনে চেষ্টা করে; সুজিত এসব ভাবছিল আচমকা আরেকটা বাজ পড়ে, এটা একটু বেশিই জোরে ছিল ফলে সীমন্তনি অস্বাভাবিক রকম কেঁপে উঠে চোখ বন্ধ করে নেয়। সুজিত ধীরে ধীরে তার ডানহাত টা দিয়ে ওপাশ ফিরে থাকা সীমন্তনির কম্পমান কাঁধে রাখে। সীমন্তনি দীর্ঘ পাঁচ বছরের শুস্ক ঝড়ঝড়ে দাম্পত্যের পর এই আজকে তার বহু পুরোনো আর পরিচিত সেই হাতের স্পর্শ পেল। এই স্পর্শ একটা সময়তে সীমন্তনির সমস্ত শরীরকে তড়িৎবেগে স্থির করে দিতে পারতো‌। একটা সময় এই হাতের স্পর্শ সীমন্তনির সমগ্ৰ দেহে এক অনাবিল আনন্দ আর তৃপ্তির অনুভূতিতে ভরিয়ে দিতে পারতো‌। আজ বহুদিন বাদে এই চেনা হাতের ছোঁয়া পেয়ে সীমন্তনি হাতটাকে আঁকড়ে ধরে কোনোকিছু না ভেবেই, সুজিত এরপর ডানহাত দিয়ে আলতো চাপ দেয় সীমন্তনির কাঁধে। সীমন্তনির চোখ বেয়ে এরইমধ্যে জলের ধারা নামতে শুরু করেছে। এরপর সে ফুঁপিয়ে ওঠে‌। সুজিত তার ডানহাতের চাপ দিয়ে সীমন্তনি কে এপাশে ফেরায়, ফিরিয়ে দেখে বিদ্যুতের আলোয় সীমন্তনি চোখ বুজে রয়েছে যতটা সম্ভব আর ফোঁপাচ্ছে। তার চোখের পাশ বেয়ে সমানে জল গড়িয়ে যাচ্ছে দুপাশে‌। সুজিত এবার সীমন্তনির চোখদুটো হাত দিয়ে মুছিয়ে দিতে যায় কিন্তু চোখ স্পর্শ করার আগেই সীমন্তনি আরেকটা হাতদিয়ে সুজিতের হাত চেপে ধরে। সুজিত বুঝতে পারে, এই একটা শেষ সুযোগ দিচ্ছে সীমন্তনি। নিজেকে সুজিতের কাছে ছেড়ে দিতে চাইছে সীমন্তনি। সুজিত একটু ঝুঁকে সীমন্তনির কপালে ঠোঁট ছোঁয়ায়। এতে সীমন্তনির চোখ বেয়ে জলের ধারা নামতে থাকে আরো দ্রুত। সুজিত দুহাতে ধরে সীমন্তনি কে উঠিয়ে বসায় বিছানাতে। চোখ মুছিয়ে মুখটা ওপরে তুলে ধরে সুজিত। আরেকবার চুমু খায় সীমন্তনির কপালে, 

— ভয় পাও এখনো?
— হ্যাঁ। (কান্না জড়ানো গলায় ফুঁপিয়ে বলে সীমন্তনি) 

— আমাকে বলোনি কেন?
— কেন বলব?

— বলবে না?
— না।

— কি করা উচিত তাইলে আমার?
— জানি না। 

— আমি তোমাকে স্পর্শ করলাম, প্রতিবাদ করবে না?
— না।

— কেন?
— জানি না। 

— এই, আমার চোখের দিকে তাকিয়ে বলো জানো না।
— আমি আর পারছি না, আমি হাঁপিয়ে গেছি। তুমি জানো না কিচ্ছু। 

— আচ্ছা, আমাকে জানাবে আজকে?
— এখন কেন জানাবো? কে তুমি?

— আমি কে? তা তো জানা নেই। 
— তাহলে বলব কেন? 

— না বললে আমি যে শেষ হয়ে যাব। 
— কেন?

— তুমি চলে যাবে যে, তাই...
— আমাকে অবহেলা করার সময় মনে ছিল না? 

— ভুল করেছি। 
— আমি সময় চাইলে টাকার পেছনে ছুটতে, তখন ভাবোনি এসব?

— নাহ। এখন বুঝতে পারছি। 
— কি বুঝছো? 

— অন্যায় হয়ে গেছে। 
— হ্যাঁ, আর তোমাকে এর জন্য শাস্তি পেতে হবে। 

— আমি তো পাচ্ছিই এখনও। আরো দিতে চাও?
— হ্যাঁ। (এই সময় আরেকবার বাজ পড়ল) 

— এভাবে দেবে? (সীমন্তনি সুজিত কে জাপটে ধরেছে বাজ পড়ার ভয়ে)
— (নিশ্চুপ) 

— কি হল? বলো?
— না। আমি জানি না কিছু...

— ছেড়ে দেব?
— না। কেন? খুব সমস্যা হচ্ছে? 

— নাহ তেমন কিছু না, ভালোবাসবো? 
— বিয়ে করোনি নাকি এর আগে? 

— আমাকে শেষবার সুযোগ দেবে?
— হুম... 

সুজিত সীমন্তনি কে আরো জড়িয়ে ধরে। সীমন্তনির মুখ তুলে কপালে গালে চুমু খেতে থাকে। সীমন্তনি এতদিন পর নিজের জমে থাকা প্রাপ্যগুলো পেয়ে আনন্দে কেঁদে ওঠে আবার। সুজিত দুহাতে সীমন্তনির মুখ ধরে তার ঠোঁটজোড়া নিজের সাথে মিশিয়ে নেয়। সীমন্তনি সুজিতে স্পর্শে নিজেকে ধরে রাখতে পারে না, সুজিতের সাথে সাড়া দিয়ে ওঠে‌। বৃষ্টির বেগ ক্রমশ বেড়ে চলেছে রাত বাড়ার সাথে সাথে। অন্ধকারে কিছুটা থাকার পর চোখ অভ্যস্ত হয়ে যায় এর সাথে, এই অন্ধকারেই সুজিত সীমন্তনির সর্বাঙ্গ স্পষ্টভাবে দেখতে পায়। সুজিত সীমন্তনির কাছাকাছি আসার পর বুঝতে পারে, ঠিক কতটা সময় পেরিয়ে গেছে সুজিত তার প্রিয় ভাঁজ গুলো কে মনযোগ দিয়ে দেখেনি সীমন্তনির শরীরে। এতটা সময় পেরিয়েছে যে সীমন্তনির দেহের যে পরিবর্তন ঘটেছে তা সে লক্ষ্যই করে উঠতে পারেনি। সুজিত ধীরে ধীরে দুহাতে সীমন্তনির পিঠ কোমড় আঁকড়ে ধরে, বলিষ্ঠ হাতের দৃঢ়তার সাথে সীমন্তনির শাড়ির আঁচল সরিয়ে ব্লাউজের বোতাম কটি টেনে খুলে ফেলে। সীমন্তনি তখনও জলভরা চোখে সুজিতের দিকে চেয়ে রয়েছে, সীমন্তনি চেয়ে দেখছে এই সুজিত কে যাকে সে দেখছিল বিয়ের মাস দুয়েক পর। দাম্পত্য এগোবার সাথে সাথে দেড়বছরের মাথায় এই সুজিত কেমন যেন উধাও হয়ে গেছিল সীমন্তনির কাছ থেকে। আজ এতগুলো দিন পেরিয়ে আবারও সুজিতের মাঝে তার পুনোরো সত্বা আর প্রেমাকাঙ্খী কে খুঁজে পেয়ে সীমন্তনি নিজেকে সঁপে দেয় তার কাছে‌। সুজিত সীমন্তনির ব্লাউজ ফেলে দিয়ে গলার দুপাশে ঠোঁট দিয়ে উষ্ণ স্পর্শ করে, সীমন্তনির ঘাড় গলা বেয়ে বুকে মধ্যস্থলে দীর্ঘ একটা চুম্বন দেয়। সীমন্তনি উত্তেজনার ফলে সুজিতের গেঞ্জির ওপর দিয়ে পিঠ আর চুল খাঁমচে ধরে। এরপর ক্রমশ রাতের গভীরতায় সীমন্তনি নিজেকে মিলিয়ে দেয় সুজিতের মাঝে। তারা একেওপরের মাঝে বিছানার যে ব্যবধান গড়ে উঠেছিল তা ভেঙে ফেলে একসাথে। সুজিত ও সীমন্তনি মিলনে লিপ্ত হয় কালবৈশাখীর রাতের গভীরতায়... 

— দাস
ছবি সংগৃহিত

একটু মনে কইরেন...

আপনে কি আমারে এক্কেবারে ভুইল্যা গেছেন?
কি হইরা পারলেন এমন! 

আমার নামড্যা কি চিরতরে আপনের মন থেইক্যা মুইছ্যা ফেলছেন?
এহন হেই নাম বাজে আপনার বুকের মইধ্যে! 

আমগো কাটানো স্মৃতি গুল্যা কি আপনের মনে পড়ে না?
কও! 
কও!
আইজকা রাইতেই এতো অন্ধকার ক্যান?  মনে হয় সময় ফুরাইয়া যাইতাছে,,, আমি আর থাকুম না...
 আমি আর.... 

আপনের বুকের বামপাশে কি আমার লাইগ্যা চিনচিন ব্যথা অয় নাহ?
হু!

ও! 🥰
কও!.

রাইত অইলে ক্যামনে ঘুমান আপনে,আপনের কি সুন্দর মতো ঘুম আহে?

হুটহাট কইরা কি এহনো মধ্যি রাইতে আপনের ঘুম ভাইঙ্গ্যা যায়?
এহনো কি ঘুম ভাইঙ্গ্যা গেলো জানালা'র গ্রিল ধইরা নিঝুম রাইতের আসমান দেহেন?
আমি দেহি...
এহন কি আগের মতো শুকতারা খুঁজতে থাহেন? 
তাই নাকি"
তারা গুনেন একট্যা একট্যা কইরা—
চাঁদ দেখার মাঝে গুনগুন কইরা গান করেন?
ফোনের অপর পাশ থেইক্যা এহন আপনের গলা শুইন্যা কে মুগ্ধ হয়?
জানেন এই পরানটা নিয়া আকাশের চান হইতে নাভি শঙ্খ পচা শামুক,,ওরা সবাই আমায়  প্রত্যাখ্যান করছে!
তারপর আপনে!  
আমার জানতে ইচ্ছ্যা হয়—
সত্যি কি আপনে আমারে ভুইল্যা গেছেন?
একবার কইবেন!
ওই!
নাকি ভালো থাকবার লাইগ্যা ভুইল্যা যাইতাছেন?
আমি ভালো থাকতাম কইয়্যা আপনে আমারে বিদায়কালীন বেলায় যে অভিশাপটা দিয়্যা গেছেন,হেই থেইক্যা আইজ অব্দি আমি ভালো নেই!

ভালো থাকা আমারে ছাইড়্যা চইল্যা গেছে,পর কইরা গেছে আপনের মতোন কইরা!

তয়;আমি তো আপনেরে ভুলি নাই,আপনে আমারে কেমনে ভুইল্যা গেছেন?
কেমনে!  কইবেন! 
আমারে ভুইল্যা কেমনে থাহেন আপনে?
আইজ একট্যা অনুরোধ করি আপনেরে,, 
আপনে আমারে ছাইড়্যা গেছেন এইট্যা আমার চরম দূভাগ্য! কইতে পারেন... 
কিন্তু,আমারে ভুইল্যা যাইয়েন না। 
আমি যেমন কইরা আপনেরে মনে রাখছি,,,
জানেন আইজ দোতারা খান কান্দে লইয়া আপনের নাম লইয়া ডাইকা ফালাইছি!! 
সে কি শান্তি!  আমার,,  আমি তাই  করমু,,ওই নাম টা দোতারার গায়ে একদিন সোনা দিয়া বান্ধাইয়া সাজামু,,,

আপনেও আমারে একটু মনে রাইখেন। 
আমার মতো কইরা মনে না রাখতে পারলেও হইবে,,,
শৈশবকালের স্মৃতি গুল্যার মতো মাঝে মইধ্যে আমারে একটু মনে কইরেন!

একবার এসো তিথি!

ও! ও!  🥰 একবার এসো হঠাৎ এসে খুশি দেখে যাও...
জানি আমার না! 
তবুও 
আমার না হলেও এসো,,, তুমি... 
আইসা দেখবা আমি কেমন আছি! 
আকাশ পরিমাণ আক্ষেপ আছে তোমারে একটু দেহনের..
আহাঃ কি রুপ তমার,,, খাটি সোনায় গড়া দেবীর চিন্ময়ী মূর্তি...  আহাঃ!
তোমাকে একবার ছুঁয়ে দেখবো তাই তো সাত জন্মের পর এখন আমি কাব্য!
জড়িয়ে ধরবো বুকের বাঁ পাঁজরে আর ঘনঘন শ্বাস নিয়া নিজেরে শুদ্ধতায় শিখরে নিয়া যামু...…
কেন হলো এমন? হ্যা!  

ক্যান হইলো এমন! 

হইলা  না কেন তুমি আমার মানুষ বুকের মইধ্যে আর পামু না তোমারে... আমার আবার জন্ম নেওয়া লাগবে! 

আসবে তো একবার আমার জীবনে!  বলো! না প্লিজ তিথি!  একবার বলো! 
মনের বাঁ দিকে গোলাপ জল ছিটিয়ে দিবো!  ভিজিয়ে দেবে তোমার গন্ধে!  আমার খুব প্রিয় ওই গন্ধ.. 
আমায় মাখতে দেবে!  
তুমি এতো পাষাণ ক্যান গোঁ
মন পু/ড়ার গন্ধ তোমার নাকে পৌঁছাইতে চায় না!  নাকি তুমি দেখো না!?  আমি বুঝি না!
ও! তিথি!  আসার সময় হাতে কইরা একটা গোলাপ নিয়া আইসো,,,,,,
আমি ঘুমাইয়া পরলে,,  মাথার কোণে রাইখো,
একবার বুকে নিয়ে নিও প্লিজ,
একবার এসো তিথি! 

নাম কিনেছি

কাল সারারাত নাম কিনেছি জুঁইফুলের মমতা.. 
ভালোবাসার দৌলতেই হারিয়েছিলাম সমতা...

আকাশে তখন ললাট লেখনে মধ্য গগনে চাঁদ
সে প্রেম ছিলো আগুনের মতো পুড়েছে দুই হাত...
কামিনী বালার মধুর গন্ধে সেই  ঘনঘন নিশ্বাস! 
হুউউ! হুউউ! হুউউ! শুধুই খালি মুখের  ঢোক গিলে... 
কামের গন্ধে উন্মাদ নীল!  কাব্য তখন সব ভুলে...

জুঁইফুলে এতো!  মধু আছে যায় কেন বিফলে!?
কাঞ্চন এক পাহাড় তখন  শ্বাসকষ্টের ও মোর সোনার কইন্যারে
    ও মোর গুণের কইন্যারে
আজি আশা দিয়া ভাসালু মোক
        অকূল সাগরে।অথৈ জলে,ডুবু ডুবু ,,, ডুবু....
নিজের বুকে বাঁধছিলো... এক ফুলের নাম....
পুরুষ সুন্দর একথা মানতাম না! 
যদি সে আমায় জীবনে না মিশতো,,,
আজ নিজেকে দেখতেও লজ্জা লাগছে,,, 
চোখের ভিতর কতো প্রেম জমানো তার নামের... 
মন টা বলে ওঠে  আয় নদী হয়ে বয়ে চল আমি মাঝি হয়ে সাতার দেই... তোরনদীর এপাড় থেকে ওপাড়...
পাল তুলে বৈঠা হাতে ভাটিয়ালি গান শোনাবো....

ও মোর সোনার কইন্যারে
    ও মোর গুণের কইন্যারে
আজি আশা দিয়া ভাসালু মোক
        অকূল সাগরে।

চিত্তে তখন দোলায় দুলিয়ে কাঁপছিল দুই ঠোঁট 
শরীর ছিলো বেজায় ক্ষত  রসের নেশায়র চোট(ব্যাথা),,,
 মধু তুলে ধরে ছিলো অপ্সরা  অন্ধ সেই মায়া!
নীল কাব্যের উপায় ছিলো না শুধুই  জ্যান্তেমরা...

আমি আর সে সুখের দোলায় জড়িয়ে ছিলাম কাল।

যেন কতো জন্মের সুখ তুই জুঁই...
 দে! না! আরো সোহাগ আমায়! আয় তবে ছুই..
আরো আদর কর,, 
আরো ছুয়ে দে! 
 ছুয়ে দে আমার শরির,,
 আমার মরু প্রান্তের ,,, নাম লিখে দে,,, এই অরন্য তোর। 
 আমায় তোর শরিরের সাথে মিশিয়ে নে,,,, 
 আমায় আদর করো...
আহাঃ রে...  আমি সোহাগ চাই তোমার সোহাগ চাই। 
আমি এই নেশায় থাকতে চাই... 
আরেকটু আদর করবে! জুঁই..

আমি! "ভাব"

সে এমন এক অভিশপ্ত মানুষ যার মৃত্যু নেই...
ভাগ্যবিধাতা যাকিছু লিখেছেন সেই বিচারক অক্ষয় কিছু লিখেছেন,,,  যার ক্ষয়ক্ষতির কোন হিসেব নেই। 
আসলে হিসেব টা রাখবে কে? 
সেই মানুষ টা তো অধরাই থেকে গেলো.... 

জীবন টা আর বইতে পারছি না!  

ক্লান্ত ভীষণ.. 

আর পারছি না! 

কেউ নেই তাকে জড়িয়ে ধরে বলবো.. 
আমায় একটু সময় দেবে!  
একটু শান্তনা দেবে একটু!  
একটু বুকের মধ্যে নিয়ে দুনিয়ার সব থেকে সুরক্ষায় ঢেকে রাখবে একটু ব্যাশ!  একটু! 

তারপর আমি আবার ঠিক চলতে পারবো জন্মজন্মান্তর।
 পরে যদি আবার একটু আদর চাই ওই! তখন দিও....
আর কিছু না.... 

হাসি,, খেলি,,, 
গান শুনি,,
গলা ছেড়ে গান গাই,,৷ 
তুমি জানো না '' জানো নারে প্রিয় তুমি মোর জীবনের কতো সাধনা!" 

  ফুল দের হাসাই কাঁদাই আবার সেই কথা লিখে রাখি,,,
 লেখা জানান দেই বিভিন্ন মাধ্যমে।
 লেখার কথা পৌঁছে যায় নীলাম্বরী, সখী, জুঁই, আঁড়ি,,ভাঁব,, গোলুমোলু, ঝিঁঝিঁ পোকা, ঝিনুক, মৌরি,,ইন্দুবালা,, দারোগা বিটি ওদের কাছে।
 ওরা সবাই জানে আমি কেমন আছি,,, 

কিন্তু সবাই লেখা পড়ে,,না ,  কেউ কেউ একদম পড়ে না! ওদের বলবো আমার থেকে দুরেই থাকতে,,,

  আমি পঁচে গেছি,, দুর্গন্ধ বের হচ্ছে,,, 
 তোমরা আমায় সবাই দূরে সরিয়ে দাও,,  
দরকার নেই তোমাদের! 

আমি একটা জঘন্য মানুষ,, 
অপরাধ শুধু একটু ভালোবাসা ভিক্ষে চাই,,, 
সবার কাছেই চাই,,
ওই!  তিথী'র অতিথি থেকে নীলাম্বরী, জুঁইফুল, মৌরি,, সখী,, ইন্দুমতী ওরা কেউ আমাকে গ্রহণ করে নি!
শুধু ভুল বোঝে আমায়....

আমি এতো টা পঁচে গেছি এতো পঁচে গেছি লাশকাটাঘরের থেকেও অধিক দূর্গন্ধ আজ আমার... 

আমি ভালোই আছি!  

এতো ভালো আছি কতো প্রিয় নাম এখন আর মুখে আসে না...

সেও  হয়তো ঐ নামের ডাক হয়তো অন্য কোন মুখে শোনার অভ্যাস করে ফেলেছে,,, 

তাই এখন হয়তো আমাকেও তার মনেই পড়ে না! 

কে!  আমি? 

পরিচয় হীন,,  অভিজ্ঞতা হীন,, দুর্বল,,একটা মানুষ... 

আমিও শুনি না আমায় কেউ তার মতো আধো আধো জরতায়   জড়িয়ে কাব্য বলতে!
খুব ইচ্ছে ছিলো এই একটা ডাকে কাব্যর মৃত্যুও  মুক্তি দেবে যএন তৎক্ষনাৎ  ছুটে যাই.... 

চিৎকার করে.... 

বলতে বলতে ছুটছে আঁড়ি'র দিকে.... 


 দি..দি..ম....ণ....ি......

কি ভাবছো!

কি ভাবছো-? 
তোমায় ছাড়া ভালো নেই!?
এইতো, বেশ আছি-
সকালে ঘুম থেকে উঠেই হাহাকার! সারাদিনের কর্মব্যস্ততায়,
রাতের একাকিত্ব আর হতাশাদের নিয়ে খুব একটা মন্দ নেই!
ভালোই আছি প্রিয়!  

কাজে অমনোযোগী, উদাসীন হয়ে সারাদিন বসে থাকা আর যন্ত্রণা দেয় না।

এ শহর একদিন তোমার আর আমার ছিলো। 
এই শহরের এ সে গলিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আজও তোমার-আমার গল্প ভেসে আছে, উদ্বাস্তু হয়ে।
 এ শহর আজ কেবল আমার।
 একান্তই আমার! তোমার দায় ছাড়িয়ে এ শহর তুমি আমার করে দিয়ে গেছো, যার কোথাও তুমি নেই।
 এ আর এমন কি...! 
যে যন্ত্রণা আমি রোজ পুষে বেড়াই, যে জীবন হতাশার, সামান্য নির্জনতা আর কতটুকুই বা আহত করতে পারে?

কি ভাবছো?
 ভালো নেই আমি?
আরে, ভালোবাসাহীন জীবনে ভালো থাকাটা জরুরী নয় তো,
বেঁচে আছি; সেই তো পরম সৌভাগ্য।

অবহেলা- অবজ্ঞায় বেড়ে ওঠা, জীবন সংগ্রামে পরাজিত সৈনিক, ব্যর্থতার আক্ষেপ নিয়ে বেঁচে আছি, এর চাইতে বেশি আর কি আশা করবো!? 
বলো তো...!

তোমায় ছাড়া জীবন স্বাদহীন- তুমি থাকলে ঠিকই, কিন্তু আমার হয়ে থাকলে না! 
“ভালোবাসি” বলেও যে মন থেকে ভালোবাসলে না। একাকিত্ব, হতাশায় মুখ থুবড়ে পড়ে রইলাম! 
-কই? 

তুমি তো দেখলে না¡

না পেরেছি তোমায় সুখ দিতে!
আর না পারলাম নিজে সুখী হতে! 
এমন ব্যর্থ মানুষকে কেবল করুনা করা যায় ওই ঠিক  তবে বিশ্বাস করো  ভালোবাসা যায় না! এমন একটা ডাষ্টবিন কে... 
কেউ ভালোবাসে না।  ভালোবাসা তো অনেক দূরের কথা সামনে আসতেও ঘৃণা হয় মানুষের,,, 
আর তুমি!  
তুমি  কি করলে! 

কোথাও ভালোবাসা পাই না আর। 
সম্মান, গুরুত্ব সে তো নাগালের বাইরে। 
সবাই কেমন বাঁকা চোখে দেখে আমায়! 
বলে আমি নাকি হাভাতে,,,  আমার ভীষণ লোভ,,
মানুষের ঘৃণার পাত্র হয়ে বেঁচে থাকাটা আজ খুবই আনন্দের- 
তবুও আর কেউ আমার দাবি না করুক। 
শুধু তুমি নিরবে যখন যখন আমায় ডাকবে দেখো 
কাব্য ঠিক তোমার ডাকে সাড়া দেবে....
একবার ডেকে দেখো আঁড়ি,, 
আমি মৃত্যুর মুখের থেকেও তোমার কাছে ছুটে আসবো!

যেদিকে তাকাই সেদিকে শুধু নিজেকে একা বিস্তার করি– ভীষণ একা! 
তাও ভালো আছি,,, 


কি ভাবছো!? 
ভালো নেই আমি-?
না গো! 
-এইতো, বেশ আছি। 
নিজেকে সবার থেকে, সবকিছুর থেকে গুটিয়ে নিয়ে কে না ভালো থাকে!? 
বলো...!!

এখন পৃথিবীর জাগতিক দুঃখ আর স্পর্শ করে না আমায়। 
এখন হতাশা, একাকিত্বে ভেঙ্গে পড়লে নিজের কাঁধে নিজে হাত রেখে বলতে পারি, 

“নাহ, তোর কেউ নেই, কেউ ছিল না কখনো!”

ভাবে'র ভাগ্যে আড়িঁ'র সুখ নেই তবে ওরা সারাজীবন ভালোবাসায় এক থাকবে,,,

এই কথা তুমি গল্পের পাতায় মিলিয়ে নিও জুঁই 🥰

এই বেশ ভালো আছি..

🤣কার লেখা জানিনা ; তবে বউ না থাকা কোন মহাপুরুষেরই হবে মনে হয় 😁
$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$$
বউ না থাকলে,
একটা ছোট্ট হারপিক অন্তত দশ বছর চলতে পারে...

বউ না থাকলে,
একটা রুম ফ্রেশনারে সারা জীবন চলে যায়...

বউ না থাকলে,
একটা ঘর মোছা ন্যাতা অন্তত পাঁচ বছর টেকে...

বউ না থাকলে,
একটা পাতি দাঁতের ব্রাস দু বছর অব্দি চলে...

বউ না থাকলে,
ডিওর কোনো প্রয়োজনই নেই..

বউ না থাকলে,
তোয়ালে কেনার প্রশ্নই নেই। একটা গামছাই যথেষ্ট। পা মোছা গামছা, হাত মোছা তোয়ালে, মুখ মোছা টিস্যু, পিঠ মোছা টাওয়াল ইত্যাদি সমস্ত বিভাজন একটা সুতির গামছাই মেটাতে পারে।

বউ না থাকলে,
জল আর উইল্কিনশন ব্লেডেই দিয়েই দাঁড়ি কামানো যায়। ফোম লোশন ইত্যাদি নিশ্চিন্তে ভুলে যেতে পারেন...

বউ না থাকলে,
এরিয়াল, সার্ফ এক্সেল ইত্যাদির প্রয়োজন হয় না। পাঁচ টাকার রিনের গুড়ো তিন মাস চলবে...

বউ না থাকলে,
হিম্যান ওম্যান শিম্যান ইত্যাদি বিভাজনের প্রশ্ন ওঠে না। জুই ফুল গন্ধ শ্যাম্পুও অবলিলায় গায়ে মাথায় মাখা যায়... লাল লাইফবয় সাবানও খুশিতে মাখা যায়... গায়ে বা মাথায়।

বউ না থাকলে,
কোলগেটের গুঁড়োতেই কাজ চলে। নুন দেওয়া, চারকোল ঠোসা, লবঙ্গ পেষা, ফ্লোরাইড, ভিজিবল হোয়াইট ইত্যাদি পেষ্টের দরকার হয় না...

বউ না থাকলে,
জামা প্যান্ট ইস্ত্রি করানোর খরচ শূন্য. তাছাড়া ইস্ত্রি লাগে এমন জামাকাপড় কেনারও প্রয়োজন নেই। পাতি টেরিকটের শার্টেও "ও লাভলি" বলার লোক প্রচুর আছে, সবাই যদিও স্বীকার করে না শিকার হবার ভয়ে...

বউ না থাকলে,
আত্মীয় অনাত্মীয় আপ্যায়নের খরচ খুব কম...একটা ঝাল চানাচুরের প্যাকেটেই দশটা আপ্যায়নের কাজ চলে, মিষ্টি চানাচুর অনেকেই ভালো খান। সেইজন্যই ঝাল ভাবলাম...

বউ না থাকলে,
কেবল কানেকশন লাগে না। ইউটিউব আর টোরেন্ট লিঙ্ক যথেষ্ট.. আর মাঝে সাঝে বড়দের সিনেমা...

বউ না থাকলে,
হিট মর্টিন গুডনাইট অল আউট লাগে না। ডেঙ্গু ম্যালেরিয়ারও ভয় নেই। জানলাই খুলবো না তো মশা আসবে কোত্থেকে... তাছাড়া মশার পছন্দসই ইন্ডোর আগাছাও বাড়িতে থাকে না, বউ না থাকলে...

বউ না থাকলে,
ধুপকাঠি, নকুলদানা, বাতাসা, গুজিয়া, আমিষ নিরামিষ বাসন ইত্যাদি বাবদ জিরো এক্সপেন্স...

বউ না থাকলে,
ইকোপার্ক নিকোপার্ক নলবন নানা ইকো রিসোর্ট ইত্যাদি যেতে লাগে না। বুড়ো আমগাছ তলায়, আরো জনা দুই বউছাড়া বন্ধুর সাথে বসে বিশ্বভ্রমনের সুখ পাওয়া যায়! টেকনিকটা জানতে হবে শুধু...

বউ না থাকলে,
একবার মশারি টাঙালে অন্তত একমাস খোলার দরকার নেই। ধার গুটিয়ে গুটিয়ে ঠিক চালিয়ে নেওয়া যায়.. বছরে দুবার বিছানার চাদর আর বালিশের ওয়ার পাল্টানো যথেষ্ট...

বউ না থাকলে,
বাজারে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। ডালসেদ্ধ ঘি দিয়ে আর কাটা কাতলা পেটি ভাজা খেয়ে একশো বছর সুস্থ ভাবে বাঁচা যায়। দশ রকম শাক, নানা কিসেমর ভাজা, বড়ি সুক্ত সব্জি কাসন আচার যত্তসব.. 

এবং আরো আরো আরো... প্রচুর আছে এই তালিকার লিষ্ট। বহুজাতিক থেকে আঞ্চলিক ব্যবসা যত, সবই টিকে আছে শুধু নারীদের ভিত্তি করেই। এবং টিকে আছি আমরাও। আমাদের গায়ে গন্ধ নেই, শার্টে রিঙ্কেল নেই, মুখে ব্রন নেই..., এও তো কোনো না কোনো নারীর খ্যাকানির ভয়েই। আমাদের রুপ, শিষ্টাচার, বা আরও যা কিছু পুরুষালি কাজকর্ম সবই তো কোনো না কোনো নারীর জন্যই। কথাতেই আছে না..

বন্যরা বনে সুন্দর
পুরুষেরা নারীর ভয়ে..

ভয়ে? নাকি ভালোবাসায়? নাকি ভক্তিতে? নাকি সবগুলো মিলে মিশেই..?

বড় জটিল এর উত্তর.. 
বোঝার ক্ষমতা নেই আমাদের.. বুঝে কাজও নেই..

এই বেশ টিকে আছি..🤣😜
 (সংগৃহীত)

"কোন এক কালবৈশাখীর সন্ধ্যায় "

“কোনো এক কালবৈশাখীর সন্ধ্যায়” — আজ এত জলদি? ছাতার অভাবে বোধহয়!  — তাড়াতাড়ি এসেছি, কোনো সমস্যা?  — সমস্যার তো আদিঅন্ত নেই, সেসব কথা নাইবা...